দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বড় অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে।
রোববার (২৫ এপ্রিল) রাতে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নতুন কমিটি গঠনের ছয় মাস পার হওয়ার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকেন্দ্রিক বিক্ষোভ থেকে সহিংসতার ঘটনার পর পুলিশি অভিযানে চাপে থাকার মধ্যে বাবুনগরীর এই ঘোষণা এসেছে।
২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালের কারণে নতুন এ কমিটি করেছিল হেফাজত।
নানা আলোচনার মধ্যে গত বছরের ১৫ নভেম্বর বাবুনগরীকে আমির করে হেফাজতের ১৫১ সদস্যের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছিল।
হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বড় অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। রোববার (২৫ এপ্রিল) রাত ১১টায় বাবুনগরী ফেসবুক ভিডিওতে এসব কথা বলেন।
বাবুনগরী আরও বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে পরামর্শক্রমে কমিটি বিলুপ্ত করা হলো। ইনশাল্লাহ, আগামীতে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে আবার হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা হেফাজতের নেতারা গত বছরের শেষ দিকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতায় নেমে ফের আলোচনায় আসে। সংগঠনটির নেতা মামুনুল হক ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। পরে তিনি হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবের পদ পাওয়ার পাশাপাশি ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদকও হন।
গত মাসের শেষ দিকে মোদীর সফরের বিরোধিতায় নেমে নতুন করে আলোচনায় আসে হেফাজত। সংগঠনটির বিক্ষোভ ও হরতালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামে সহিংসতায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।